দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, সহানুভূতি ও সহায়তার মাধ্যমে মানবিক সমাজ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। শুধু অনুদান নয়, কর্মস্থলের ব্যবস্থা করার সংকল্প।

১. দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তা:

এই অধ্যায়ে সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হল দরিদ্র, অসহায়, অনাথ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও জীবিকার সহায়তা প্রদান। সংগঠনটি তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সেবা নিশ্চিত করবে, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

২. চিকিৎসাসেবা:

অসহায় দরিদ্র লোকদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে চিকিৎসা করতে পারছে না, এমন লোকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

অথচ আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে যথার্থই জানেন। আর অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই যথেষ্ট।

আন-নিসা, আয়াত: 45

৩. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সহায়তা:

বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক মানুষদের পুনর্বাসন প্রোগ্রাম এবং শারীরিক, মানসিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

৪. দাফন-কাফনের ব্যবস্থা:

কোনো মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনে সমস্যা হলে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।

পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।

বনী ইসরাঈল, আয়াত: 1

৫. প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন:

সংগঠনটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে, যেমন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, নারীদের জন্য উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, কৃষকদের জন্য উপকরণ প্রদান ইত্যাদি।

৬. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তা:

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্পের সময় সংগঠনটি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে।

আপনি জানেন, সিজ্জীন কি?

আত-তাতফিফ, আয়াত: 8

৭. বিবাহের ব্যবস্থা:

দরিদ্র পরিবারের সন্তানের বিবাহ্ দিতে পারছে না, এমন সন্তানের বিবাহের ব্যবস্থা করা।

৮. জনসচেতনতা বৃদ্ধি:

সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও উন্নতি নিয়ে অনুষ্ঠান, সেমিনার ও ক্যাম্পেইন চালানো হবে। সামাজিক সমস্যা, পরিবেশগত সমস্যা ও মানবিক সংকটের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।

স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই গুনীজন।

সাদ, আয়াত: 48