দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, সহানুভূতি ও সহায়তার মাধ্যমে মানবিক সমাজ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। শুধু অনুদান নয়, কর্মস্থলের ব্যবস্থা করার সংকল্প।

১. দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তা:

এই অধ্যায়ে সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হল দরিদ্র, অসহায়, অনাথ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও জীবিকার সহায়তা প্রদান। সংগঠনটি তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সেবা নিশ্চিত করবে, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

২. চিকিৎসাসেবা:

অসহায় দরিদ্র লোকদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে চিকিৎসা করতে পারছে না, এমন লোকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর একে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও,

আল-হাক্কাহ, আয়াত: 30

৩. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সহায়তা:

বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক মানুষদের পুনর্বাসন প্রোগ্রাম এবং শারীরিক, মানসিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

৪. দাফন-কাফনের ব্যবস্থা:

কোনো মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনে সমস্যা হলে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।

তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।

ইয়াসীন, আয়াত: 41

৫. প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন:

সংগঠনটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে, যেমন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, নারীদের জন্য উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, কৃষকদের জন্য উপকরণ প্রদান ইত্যাদি।

৬. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তা:

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্পের সময় সংগঠনটি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে।

এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।

আন-নাহল, আয়াত: 101

৭. বিবাহের ব্যবস্থা:

দরিদ্র পরিবারের সন্তানের বিবাহ্ দিতে পারছে না, এমন সন্তানের বিবাহের ব্যবস্থা করা।

৮. জনসচেতনতা বৃদ্ধি:

সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও উন্নতি নিয়ে অনুষ্ঠান, সেমিনার ও ক্যাম্পেইন চালানো হবে। সামাজিক সমস্যা, পরিবেশগত সমস্যা ও মানবিক সংকটের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।

অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত সক্ষম স্রষ্টা?

আল-মুরসালাত, আয়াত: 23